ঘি অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ বলে শরীরকে রোগ প্রতিরোধে সক্ষম করে তোলে।
" খাঁটি দানাদার ঘি " খাওয়ার কিছু উপকারিতাঃ
শরীরের পুষ্টি শোষণে সহায়ক: ঘি প্রাকৃতিক অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ এবং এতে উপস্থিত স্বাস্থ্যকর ফ্যাট অন্যান্য খাবার থেকে ভিটামিন A, D, E, এবং K-এর শোষণকে সহায়তা করে। ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে ও দেহ থাকে বলিষ্ঠ।
চোখের স্বাস্থ্য রক্ষায় সহায়ক ঘিতে থাকা ভিটামিন A চোখের দৃষ্টিশক্তি রক্ষা করে এবং চোখ শুষ্ক হয়ে যাওয়া বা রাতকানা রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, গ্লুকোমা রোগীদের চোখের চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতেও এটি উপকারী হতে পারে।
মানসিক চাপ ও রোগ প্রতিরোধে ভূমিকা ঘি-তে থাকা বাটিরিক অ্যাসিড এবং গুড ফ্যাট মস্তিষ্কে ভালো হরমোনের নিঃসরণ ঘটায়, যা উদ্বেগ ও মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। এর ফলে দীর্ঘমেয়াদে ডায়াবেটিস ও ক্যান্সারের ঝুঁকি হ্রাস পেতে পারে।
ত্বক ও মুখের স্বাস্থ্য উন্নত করে ঘি প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে। নিয়মিত সেবনে ত্বক থাকে কোমল ও উজ্জ্বল। ঘি-র অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি গুণাবলি মুখের ঘা বা হালকা ইনফেকশন দ্রুত সারাতে সহায়ক।
হাড় ও সন্ধি সুস্থ রাখে ঘি খেলে শরীরে কিছু হরমোন নিঃসৃত হয় যা জয়েন্ট ও হাড়ের সংযোগস্থলগুলো মসৃণ রাখতে সাহায্য করে। এটি সন্ধির ব্যথা বা জোড়ার খটখট ধ্বনি কমাতেও সাহায্য করতে পারে।
মস্তিষ্ক ও স্মৃতিশক্তির উন্নতি: আয়ুর্বেদ মতে, ঘি “মেধ্য” অর্থাৎ বুদ্ধিবর্ধক। ঘি-তে থাকা ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড এবং গুড ফ্যাট নিউরোন সক্রিয় রাখতে সাহায্য করে, যা স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সহায়ক হতে পারে।